বাড়তি নাম: | Moru Shohor |
প্রকাশক: | সেবা প্রকাশনী |
বিষয়: | অনুবাদ, উপন্যাস, কল্পবিজ্ঞান, থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার |
লেখক: | জুল ভার্ন |
পৃষ্ঠাসমূহ: | 93 |
ভাষা: | বাংলা |
ধরণ: | পিডিএফ |
অনুবাদক: | শামসুদ্দিন নওয়াব |
ভূপৃষ্ঠের তিনলক্ষ বর্গমাইল জায়গা জুড়ে রয়েছে বিশাল সাহারা মরুভূমি। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে তখনকার যে কোন নিঁখুত এবং আধুনিক ম্যাপেও বিরাট এই ভূখন্ডকে ফাঁকা জায়গা হিসেবে দেখানো হত। অজ্ঞাত এই অঞ্চলে কি আছে, জানত না এমনকি বড় বড় ভূগোল বিশারদেরাও। এই সময়টাতেই সাহারার দিকে চলেছিল বারজাক মিশন।
কাহিনীটা শোনা যাক। সাহারার কাছাকাছি অঞ্চলে যারা বাস করে, সেই দুর্ধর্ষ কাফ্রীদের মধ্যে একটা কিংবদন্তী কিছুদিন (বারজাক মিশন নাইজার বাঁকের দিকে রওনা দেবার সময়) ধরেই শোনা যাচ্ছে। প্রায়ই নাকি অতিকায় ডানাওয়ালা কালো পাখি মুখ দিয়ে আগুন ঝরাতে ঝরাতে সাহারার দিকে উড়ে যায়। চিররহস্যে ঘেরা সেই আদিম এলাকা হতে টগবগিয়ে বেরিয়ে আসে আগুনের ঘোড়া। এর মালিক খোদ শয়তান। হাতে তার ভয়ঙ্কর আগুনের লাঠি। ঘোড়ার জ্বলন্ত শ্বাসে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় গ্রাম, গাছপালা, ঘরবাড়ি। গরীব নিগ্রোদের সর্বস্ব লুট করে ঘোড়ার মালিক। ধরে নিয়ে যায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে। বাঁধা দিলেই নির্মম মৃত্যু। শিশুদের পর্যন্ত নির্বিচারে খুন করে রেখে যায়, এমনি নিষ্ঠুর শয়তান।
কেউ জানে না ওরা কারা। কেন গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে, মানুষ খুন করে যায় নির্বিচারে। সাহারার মত আরেক মরুভূমি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে যেন লোকালয়গুলোতে। সত্যিই কি নরক থেকে উঠে এসেছে সাক্ষাৎ কোন শয়তান?