ইনফার্নো
2013
এক বিখ্যাত সিম্বলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন, হঠাৎ একদিন জ্ঞান ফি্রলে নিজেকে আবিষ্কার করেন ফ্লোরেন্সের একটা হসপিটালে ( সাজানো)। কি ঘটেছিল এবং কেন তিনি হসপিটালে এসব এর কিছুই তিনি মনে করতে পারেন না, স্মৃতিভ্রষ্ট ল্যাংডনের মাথায় ঘুরতে থাকে একটি কথা খোঁজো, খুঁজলেই পাবে। বাবা মার দেয়া প্রিয় মিকি মাউস ঘড়িটি খুঁজে পাননা, তার বদলে তার জামার পকেটে মেলে এক অদ্ভুত-ভীতিকর একটি জিনিস। তার কোনো ধারণাই নেই কোত্থেকে এটা এলো, শুধু বুঝতে পারেন তার মাথায় অপারেশান করা হয়েছে, তীব্র ব্যাথা নিয়েই তিনি পুড়া রহস্য কে তাড়া করে বেড়ান। তারপরই ঘটতে থাকে একের এক পর অদ্ভুত ঘটনা। এই সময় তার সাথে জড়িয়ে পড়ে তার ডক্টর, অদ্ভুত এক মেয়ে সিয়েনা। তারা দুজন রহস্যের সমাধান করতে থাকেন আর একটু একটু করে আবার জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়ান অবশেষে আসল সত্যটি জানতে পারেন তারা, যে কোন এক পাগল ব্যাক্তির কারনে পুরো মানবজাতি মারাত্মক এক হুমকির মুখে পড়ে দান্তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে যেমন এই বই তে উনি আবির্ভুত হইছেন। লেখক বই এর শুরুতেই এক ব্যাক্তি ( ভিলেন) এর মৃত্যু এনে ঘটনাটাকে আকর্ষিত করেছেন পাঠকদের, যে কিনা দান্তের ইনফার্নো বই, একটা মুখোশ যার ভেতরে লুকানো আছে মূল রহস্য, এর মধ্য দিয়ে ক্লু রেখে গেছেন, মানব জাতি কে উদ্ধার এর জন্য, শুরুতে সিয়েনা ভিলেন এর নায়িকা থাকলেও এবং ল্যাংডন কে মারার চেষ্টা করলেও শেষ এ দেখা যায় যে তাহারা একে অপরের প্রেমে মগ্ন, সব মিলিয়ে খুব ভাল লেগেছে বইটি যদিও খুব ঠাণ্ডা মাথায় বইটি না পড়লে কাহিনি বুঝা টা কঠিন।