টুনটুনি ও ছোটাচ্চু
2014
বিশাল এক যৌথ পরিবার। মামা, চাচা, খালা, খালু সবাই একসাথে থাকে। পরিবারের দৈর্ঘ্য এতটাই বড় যে, পরিবারের সদস্যরাও তাদের নিজেদের সম্পর্ক আওলাঝাওলা করে ফেলে।
এই পরিবারের সবচেয়ে ছোটজন অর্থাৎ বড়দের মধ্যে যে ছোট তিনি হলেন শাহরিয়ার আহমেদ। তাকে বাসার সব ক্ষুদে সদস্যরা ছোটাচ্চু বলে ডাকে। ছোট চাচার সংক্ষিপ্ত রূপ ছোটাচ্চু। এই ছোটাচ্চু সবার ছোটাচ্চু হওয়ার কথা না। হয়তো কারো ছোট মামাও হওয়ার কথা কিন্তু না সব পিচ্চিগুলাই তাকে ছোটাচ্চু বলে ডাকে।
যাই হোক, এই ছোটাচ্চুর পড়াশোনা মাত্র শেষ হলো। তিনি একদিন বাসার সব পিচ্চিদের ডেকে বললেন, তিনি একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলবেন। আর এই কথাটা যেন বড়রা কেউ না জানে। কিন্তু এই পিচ্চিগুলার মাধ্যমেই কথাটা বড়দের কানে চলে যায় এবং বড়রা হাসি-ঠাট্টা করে কথাটা আমলে নেয় না।
বাসার সব ক্ষুদে সদস্যরাই ছোটাচ্চুর কথা শুনে ভীষণ খুশি। তারাও ছোটাচ্চুর গোয়েন্দা সংস্থায় যোগ দিবে। কিন্তু চাচ্চু কড়া ভাবে না করায় তাদের উৎসাহ দমে গেলো।
কিন্তু টুনি যার ডাকনাম টুনটুনি বাসা সবচেয়ে শান্ত মেয়ে, যার বয়স পাক্কা এগারো বছর তিন মাস সেই মেয়েটি ছোটাচ্চুর এসিস্টেন্ট হতে চায়। কিন্তু চাচ্চু তাকেও নিবে না। কিন্তু টুনি তার নিজের বুদ্ধি দিয়ে জায়গা করে নেয় ছোটাচ্চুর গোয়েন্দা সংস্থা "আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি" তে।
আর এই গোয়েন্দা সংস্থা খোলার পরই ঘটতে থাকে একের পর এক মজার কাহিনী!