ঘোরপ্যাঁচে প্রাণগোবিন্দ
2006
অবসরপ্রাপ্ত দর্শনের অধ্যাপক প্রাণগোবিন্দ বাবু। আত্মভোলা মানুষ। হঠাৎ তার ঘাড়ে এসে পড়লো খুনে গোকুল বিশ্বাসের প্রাণাধিক প্রিয় গরু চুরি করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ। গাঁয়ে কানাঘুষা শুরু হয়ে গেল। লোকে ছি ছি করতে লাগল সৎ, নির্বিবাদী প্রাণগোবিন্দ বাবুকে। লজ্জায়, অপমানে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন৷ দড়ি কিনে বনে গেলেন। বহু কসরতে গায়ে উঠলেন সেখানেই দেখা হল বাদামচন্দ্র বাবুর সাথে। যিনি কীনা বাঁদরের থেকেও কলা ছিনিয়ে নিতে পারেন গাছে চড়ে।
এদিকে প্রাণগোবিন্দ বাবুর নাতি-নাতনি পিউ আর পিউল দাদাবাড়ি আসছিল। বাসে বিক্রমজিৎ নামে এক অসম্ভব প্রতিভাবান ম্যাজিশিয়ানের দেখা পেল। সে দু'জনকে চকোলেট দিল৷
কিন্তু বিক্রমজিৎ নামে বিখ্যাত এক যাদুকর তো এ তল্লাটে শতবর্ষ পূর্বে ছিল। সে তো কবেই গত হয়েছে। তাহলে এ কে?
বটুক বাবু বিরাট পাচিল দেওয়া বাড়িতে একা কী করেন? টক্কেশর মাছ চুরি করতে গিয়ে বটুকবাবুর পোষা খুনে কুকুরকে এমন হিংস্র হতে কেন দেখলো?
গাছে চড়ে বুদ্ধি বেড়ে গেল প্রাণগোবিন্দ বাবুর। চললেন রহস্য সমাধানে। এলাকার ত্রাস গোকুল বিশ্বাস কী ছেড়ে দিবে প্রাণগোবিন্দ বাবুকে? কারা পিউ আর পিউলকে মেলায় ডেকে নিল?